
শিশু দিবসের ইতিহাস:
শিশু দিবস(Children's Day)অর্থাৎ 14ই নভেম্বর প্রতিবছর এইদিনটিকে মহাসমারোহে পালন করা হয়। আদতে এইদিনটিতেই স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন। তার জন্ম হয় ১৮৮৯সালের 14ই নভেম্বর। আগে ১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর দিনটিকে শিশু দিবস হিসাবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ। ১৯৬৪ সালের ২৭ মে জওহরলাল নেহেরুর মতৃ ্যুর পর, তাঁর শিশুদের প্রতি অগাধ স্নেহ ও ভালোবাসার জন্য, সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় ১৪ই নভেম্বর, তাঁর জন্মদিনে ভারতে পালিত হবে শিশু দিবস। শিশু দিবসটি প্রথমবার ১৯২০ সালের ২৩ এপ্রিল তুরস্কে পালিত হয়েছিল। বিশ্ব শিশু দিবস ২০ নভেম্বর-এ উদ্যাপন করা হয়, এবং আন্তর্জাতিক শিশু দিবস জনু ১ তারিখে উদ্যাপন করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশে নিজস্ব নির্দিষ্ট দিন আছে শিশু দিবসটিকে উদ্যাপন করার।
শিশু দিবসে করণীয়:
শিশুদের প্রতি ছিল পণ্ডিত নেহেরুর অকৃত্রিম ভালোবাসা। বাচ্চারাও তাঁকে ভালোবেসে "চাচা নেহেরু" নামে ডাকতো। পণ্ডিত নেহেরুর মতে শিশুরাই আগামীদিনের আশার আলো এরাই ভবিষ্যতে সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। তবে তার জন্য চাই সঠিক শিক্ষার বিকাশ। এখনও বহু জায়গায় গ্রামে দেখা যায় শিশু শ্রমিক,হাতে পড়ার বই এর বদলে থাকে কাজেরসামগ্রী। ইঁটভাটা,মাটিকাটা,জমিতে জোয়াল টানা এছাড়াও
চা.খাবারর দোকানে এখনও দেখা যায় প্রচুর শিশু শ্রমিক অমানষিু ক পরিশ্রম করে যাচ্ছে,এইদিনে আমাদের সকলের শপথ নেওয়া উচিৎ এই সমস্ত শিশুদের সময় ও বয়স অনপা ু তে শিক্ষার আঙিনায় এনে শিক্ষার আলোয় এনে আলোকিত করার ব্যবস্থা করা। তবেই সফল হবে শিশু দিবস(Children's Day) ও পণ্ডিত নেহেরুর স্বপ্ন।
সেরকম নোবেল জয়ী "কৈলাশ সত্যার্থী" শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য অনবরত কাজ করে যাচ্ছেন।
শিশুরা সাধারণত যেসব অসুখে আক্রান্ত হয় তা হলো:
•নিউমোনিয়া(Pneumonia):শীতকালেঅত্যাধিক
ঠান্ডা লেগে শিশুদের বকেু কফ জমার ফলে এই রোগের জীবাণুফুসফুসকে আক্রান্ত করে। • ডায়রিয়া(Diarrhea): দষিূ ত পানীয় জল ও খাবারের জন্য ডায়রিয়া,কলেরা,বমি এই অসুখ গুলো দেখা দেয়।
• রুবেলা(Rubellaহাম): এই ভাইরাসে সারা শরীরে লাল ফুসকুড়ি হয় সাথে জ্বর,লসিকা গ্রন্থি ফুলে যায়। • চিকেন পক্স(Chicken Pox): বসন্ত বা চিকেন পক্সে মখেু , মাথায়,হাত-পায়ে ছোট ছোট লাল ফোস্কা দেখা যায়। এটি সংক্রামিত রোগ দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
• HFMD(হ্যান্ড ফুট,মাউথ ডিজিস): এটি ভাইরাস ঘটিত রোগ এই অসুখে হাত পা মখেু ও মখেু র ভিতরে ফুসকুড়ির মত উপসর্গ দেখা যায়। মখেু র ভিতরে হয় বলে গলায় ব্যাথা থাকে।খাবার খেতে সমস্যা হয়। এছাড়াও সাধারণ জ্বর(Fever), সর্দি (Common Cold), কাশি (Cough), কৃমি র মত উপসর্গওর্গ দেখা যায়।
তবে অসুখ যেমনই হোক না কেনো নিজেরা চেষ্টা করার আগে শিশু বিশেষজ্ঞের(Pediatrician) পরামর্শ নিতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পুষ্টিযুক্ত খাবার সেবন করতে হবে। পরিমাপ মত জল পান করতে হবে।