
Dengue Symptoms and Treatment: জ্বর হয়েছে, তাহলে কি ডেঙ্গু হল? জেনে নিন রোগের উপসর্গ ও কী করতে হবে?
ইদানিং যে ব্যাপারটা ভীষণভাবে লক্ষ্যণীয় তা হলো আমাদের রাজ্যের শহরকেন্দ্রিক মফস্বল এলাকায় ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত অনেক বেশি।তার প্রধান কারণ হলো ডেঙ্গুর ভয়াবহতার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের উদাসীনতা। আমরা যদি আরও একটু সচেতন হই, রোগটির ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে প্রচারকার্য চালিয়ে যাই, আমাদের পরিবেশকে সুন্দর ও স্বচ্ছ করে তোলার দিকে নজর দিই - মশার জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করি তবে অচিরেই আমরা এই মারাত্মক সংক্রামক রোগের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারি।
ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহিত ভাইরাল সংক্রমণ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের রক্ত খেয়েই এডিস ইজিপ্টাই নামক স্ত্রী মশা সুস্থ মানুষের শরীরে এই রোগের বিস্তার ঘটায়। ১৭৭৯সালে মানুষ প্রথম ডেঙ্গির অস্তিত্ব পেয়েছিল,তা আবার ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে বিংশ শতাব্দীতে ফিরে এসেছে।বর্ষায় জমে থাকা ফুলের টবের পরিষ্কার জলে, গাড়ির গ্যারেজের পরিত্যক্ত টায়ারের মধ্যে, এসির জমে থাকা জলে জন্মে থাকে এই মশা, ময়লা নর্দমাতে এডিস মশা বিস্তার লাভ করে না।
উপসর্গ -
১.সাধারণ জ্বর থেকে হঠাৎ উচ্চমাত্রায় জ্বর হতে পারে।
২.প্রচন্ড মাথা ব্যাথা,শরীরে ব্যাথা।
৩.বমি বমি ভাব
৪.শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি।
৫.রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়া।
৬.নাক ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়া।
৭.চোখের পিছনে ব্যাথা
করণীয় কি?
জ্বর হলে কিংবা উপরে দেওয়া কোনো একটা উপসর্গ গুলির মধ্যে কোনো একটা দেখা দিলেই কেনোরকম চিন্তা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিডনি বা হার্টের কোনো রকম অসুবিধা না থাকলে জ্বর কমাতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্যারসিটামল সেবন করতে পারেন কিন্তু ব্যাথা কমানোর জন্য কোনো রকম অ্যাসপিরিন বা ব্যাথা কমানোর ওষুধ সেবন করা যাবেনা এই জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
রক্তের সিবিসি (Complete Blood Count) পরীক্ষার মাধ্যমে বা অনুচক্রিকার সংখ্যা গণনা করা হয় যেটা আমাদের শরীরে প্রতি ঘনলিটার রক্তে দেড়লাখ থেকে সাড়ে চারলাখ থাকে তবে সেইসংখ্যা কুড়িহাজারে নেমে এলেও চিন্তার কিছু নেই যদি না শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ হয়। তাই ডেঙ্গু পজিটিভ হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, নিজেকে হাইড্রেট রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্যালাইন দেওয়া এতেই বেশিরভাগ ফল পাওয়া যায়।
মশার কামড় থেকে বাঁচার উপায়:-
মশারি টাঙিয়ে ঘুমোবেন। জানলায় মশারির জাল লাগাবেন যাতে বাইরে থেকে মশা ঘরে প্রবেশ করতে না পারে।ফুলহাতা জামা কাপড় পরা উচিৎ। মশা নিরোধক ব্যবহার করা যেতে পারে। মশার বংশ বৃদ্ধি হ্রাস করার জন্য বাড়ির যেইখানেই জমা জল দেখতে পাবেন তৎক্ষণাৎ ফেলে দেবেন। পৃথিবীতে প্রতিবছর ৪০-৫০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও সামান্য কিছু রোগীই মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছায়।
তাই সুস্থ থাকুন সাবধানে ও শান্তিতে থাকুন।।